দালালের খপ্পরে পড়ে সৌদি আরবে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে শ্যামনগরের ৭ যুবক

 মারুফ বিল্লাহ রুবেল, শ্যামনগর প্রতিনিধি সাতক্ষীরা শ্যামনগরে দালালের খপ্পরে পড়ে সর্বশান্ত শ্যামনগরের ৭ টি পরিবার, আদম ব্যবসায়ী ঈশ্বরীপুর ইউনিয়নের খাগড়াঘাট গ্রামের হাসান আলী মোড়লের ছেলে আব্দুল আলিম দীর্ঘদিন সৌদি আরবে অবস্থান করছেন বলে জানা যায়।

গ্রামের গরীব অসহায় দরিদ্র পরিবারের সন্তানদের টার্গেট করে উচ্চ বেতনের প্রলোভন দেখিয়ে সৌদি আরব নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখায়। অতপর  ভুক্তভোগীরা ভিটামাটি,সহায়-সম্বল বিক্রয় করে ৫-৬ লক্ষ টাকা জমা দিয়ে পাড়ি জমান সৌদি আরবে ভাগ্য পরিবর্তনের আশায়।

 সৌদি আরবের ফ্রি ভিসা, মোটা অংকের বেতনে চাকরী ইত্যাদি প্রলোভনে দেখিয়ে বিভিন্ন বেকার যুবদের থেকে মাথাপিছু৫-৬ লক্ষ টাকা করে হাতিয়ে নিচ্ছে এই আলিম।

আলিমের প্রলোভনে সৌদি আরব পাড়ি জমানো যুবকদের হয়নি কোন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা, অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। শ্যামনগর উপজেলার শ্রীফলকাটি গ্রামের আশরাফ মোড়লের ছেলে শফিকুল ইসলামসহ বেশ কিছু যুবক আলিমের প্রলোভনে  উন্নত জীবনের আশায় জীবিকার তাগিদে সৌদি আরব পাড়ি জমান। এদের মধ্যে কয়েকজন ভুক্তভোগী সৌদি প্রবাসে গিয়ে বিগত প্রায় ৩ মাস ধরে চাকরির বদলে একটি ঘরের মধ্যে বন্দী করে রাখে এবং অনাহারে অর্ধহারে অমানবিক জীবনযপান করে। তারপর সেই খান থেকে পালিয়ে গিয়ে কয়েকজন যুবক সৌদিতে ফেরারি জীবন জীবন যাপন করছেন বলে স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান মেজবাহ উদ্দিন নামে একজন ভুক্তভোগী।

এই ঘটনায় আতঙ্কিত ও হতাশাগ্রস্ত অবস্থায় রয়েছেন তাদের পরিবার।  ভুক্তভোগীরা সৌদি আরবে গিয়ে বর্তমানে মানবতার জীবন যাপন করছে এদের কাউকে আজ প্রায় ১ বছরের মধ্যে কোন কাজ ও আকামা দেওয়ার কথা থাকলেও দালাল আলিম কিছু দেয়নি।

বর্তমানে  এই ভুক্তভোগীদের সাথে দালাল আলিম কোন যোগাযোগ করছে না। যার ফলে ভুক্তভোগীরা সৌদি আরব শহর রিয়াদের সবচেয়ে বিপদজনক অবস্থায় গৃহবন্দী হয়ে আছে তারমধ্যে থেকে দুই একজন কাজের সন্ধানে বের হলেও পুলিশ তাদের নামে ১ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত সৌদি রিয়াল জরিমানা করেছে।  ফলে জরিমানা পরিশোধ না করে ভূক্তভোগীদের কখনো দেশে আসার সম্ভাবনা নেই বলে জানা যায়। কারণ প্রবাসীদের বিমানে আসতে গেলে উক্ত জরিমানা সৌদি সরকারকে প্রদান করতে হবে যা বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ১০ লক্ষ টাকার সমান, তাই এই দালাল আলীমের হাত থেকে এই অসহায় প্রবাসীদের বাঁচার আকুতি প্রবাসীদের পরিবারসহ সবার একটাই দাবি আলিম সহ মানব পাচারকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রনি খাতুন জানান এই ধরনের অভিযোগ আমরা গুরুত্বসহকারে নিচ্ছি। তবে ভুক্তভোগী পরিবার থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে। দালালের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।